নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড়ীর পাশে রাস্তার সীমানাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলার টুঠামান্ডা ইউনিয়নের পুইসুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তারা মনি রায় নামে এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছে বলে যানা যায়। সূত্র মতে:তারা মনি রায় পুইসুর গ্রামের একজন দিনমজুরের স্ত্রী। দিনমজুর হিসাবে প্রতিদিন খেটে খাওয়াই তাদের কাজ ।স্বামী হরিদাস রায় একজন দিনমজুর । তাদের দরিদ্র এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে, প্রশান্ত রায়,মনি রায় ,ও অমিতাব রায় তাদের বাড়ীর পাশের রাস্তাটা নিজেদের দখলে রাখতে চায়। এ নিয়ে হঠাৎ একদিন তিন ভাই একসাথে তারা মনি রায়কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।একপর্যায়ে বাধা দিতে গেলে প্রশান্ত রায় পিতা( চিত্ত রঞ্জন রায়) তারা মনিকে ঘুষি মারে। এতে তারা মনির দাঁত ভেঙ্গে যায় । পরবর্তিতে অমিতাব রায় পিতা (চিত্ত রঞ্জন রায়) গাছের ঢাল দিয়ে পিটালে তারা মনির হাত ভেঙ্গে যায়। ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকা মনি রায়, অরিবিন্দু রায় ও ব্রোজেন রায় তারা মনিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অনুসারে সন্ত্রাসীরা তারা মনিকে পিটিয়ে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায় । অরেবিন্দু টুঠা মান্ডা গার্লস হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত । মানুষ গড়ার কারিগর যদি হয় অত্যাচারী তাহলে সাধারন মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।অন্য একটি সূত্র মতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রায় এক মাস যাবৎ তারা মনি রায় চিকিৎসা নিলেও এখনো সুস্থ না হয়ে বরং অসুস্থ এবং পঙ্গুত্ব অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মিমাংসার কথা হলেও বাস্তবে সেটা পরিনত হয়নি। তারা মনির হাতের ভিতরের রটটি খোলার কথা থাকলেও টাকার অভাবে পারছেনা চিকিৎসা নিতে। অত্যাচারীদের ভয়ে ও চাপে এখন পর্যন্ত কোথায়ও অভিযোগ করতে সাহস পায়নিতারা মনি রায়।এই মুহুূর্তে অসহায় ও পঙ্গুতের জীবন থেকে মুক্তিপেতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন তারামনি রায়।