শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে পালং ইউনিয়নে ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিজিএফ এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। হতদরিদ্রদের জন্য দশ টাকা দরে প্রতি মাসে ত্রিশ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন তার ছোটো ভাই জাহাঙ্গির মুন্সির নামে পালং ইউনিয়নের ৫,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ডিলারশীপ আনে এনং তা নিজে পরিচালনা করে।প্রতি মাসে ২৫৫ জন হত দরিদ্রদের মাঝে এই চাল বিক্রি করেন তিনি।
প্রতিমাসের ন্যায় আজ সেই দরিদ্র লোকগুলো চাল নিতে আসেন।তিনশত টাকায় ত্রিশ কেজির এক বস্তা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে তা দেওয়া হয় না, প্রতিটি বস্তা ভেঙে তা থেকে ৪, ৫ কেজি চাল কম দেওয়া হয়। হয়ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রতি মাসেই তাদের ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে দেওয়া হয় ২৪ কি ২৫ কেজি।
পালং ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের আটিপাড়া গ্রামের হাওয়া বিবি বলেন,কোনো কাম কাইজ নাই,হাতে কোনো টাকা পয়সা নাই,ঘরে চাল, ডাল,নুন কিছুই নাই,হাওলাদ করে টাকা এনে চাল আনতে গেছি,বালটি মেপে চাল দিয়েছে,তা আবার বোরহান মেম্বার বালতি থেকে ঝাকি দিয়ে ফেলে দিয়ে অর্ধেক বালতি চাল দিলো।
একই গ্রামের চুন্নু খা বলেন,চাল দেওয়ার কথা ত্রিশ কেজি, কিন্তু বাড়িতে এনে মেপে দেখি ছাব্বিশ কেজি,
ভুক্তভোগী শাহানা বেগম বলেন,অনেক কস্টে টাকা জোগাড় করেছি,ভেবেছি ত্রিশ কেজি চাল পেলে অনেক দিন চলতে পারবো,কিন্তু চাল দিল কম।
অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন মেম্বার বলেন, বস্তায় ২৫ কেজি করে আছে তাই আমি খুলে ৩০ কেজি করে দিতেছি আর এটা আমি খাদ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিছি।
ট্যাগ অফিসার লামিয়া বলেন, ২৫ কেজি বস্তা খুলে ত্রিশ কেজি করে পূর্ণ করে দেয়। আমার সামনেই চাল দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, চাল খুলে কম দিতেছে এমন একটা সংবাদ পেয়ে আমি এখানে আসি, এসে দেখি সংবাদের সত্যতা মিল আছে। আর আমরা কেউ বস্তা খোলার অনুমতি দেইনি। বস্তা খুলানোর কোন নিয়ম নেই, যা আছে তা দিতে হবে, আর ২৫ কেজির কোন বস্তা নেই, যদি বস্তা খুলে সেটা হবে অনিয়ম।
এই বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহবুর রহমান শেখ বলেন,সকালে আমাকে ফোনে একজন এ বিষয়ে অবহিত করেছে,আমি উপজেলা খাদ্য অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছি,তাকে লিখিত রিপোর্ট দিতে বলেছি, আগামীকাল দশটার মধ্যে লিখিত রিপোর্ট দিতে বলেছি,কোনো অনিয়মের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শরীয়তপুরে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কঠোর অবস্থান গ্রহণ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আজ ডামুড্যা পৌর বাজারে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় এ সময় বাজার সরিয়ে স্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিভিন্ন অপরাধে ০৭ জনকে মোট ২৪৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সহযোগিতা করেছেন থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশ, স্বেচ্চাসেবী সংগঠন জয়ন্তীর স্বেচ্চাসেবীরা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ
জানা যায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকবে।ওষুধের দোকান খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা।এর ব্যতিক্রম ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ডামুড্যা উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনা জারি করেছেন।এই ব্যাপারে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন সবাই কে অনুরোধ জানিয়েছেন।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা এলাকা সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।তারপরও কিছু উৎসুক জনতা পাড়ামহল্লায় ও রাস্তাঘাটে অযথা ঘোরাফেরা করছে বলে জানা যায়। এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনার প্রভাব পর্যায়ক্রমে বেড়ে চলেছে।ফলে সরকার সাধারণ মানুষকে এই রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে।ডামুড্যা উপজেলার সকল স্কুল কলেজ সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত সহ যানবাহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।ফলে প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ রয়েছে।কাজ শেষে দ্রুত বাসা বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।এই নিয়ম স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা মেনে চললেও এলাকার লোকজন ঘোরাফেরা ও আড্ডা দিতে উৎসাহবোধ করছেন।ফলে সরকারের নির্দেশনায় উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন মাঠে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।